person
!
প্রোফাইল আপডেট
সাজেস্টেড: পড়াশোনা, লেখালেখি, বিজ্ঞান

অতিরিক্ত আবেগী ও ইমোশনাল ডিপেন্ডেন্সি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো? প্লিজ বিস্তারিত পড়ে উত্তর দিন :)?

"নিত্য ঝুট ঝামেলা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন (অতিথি) (6 পয়েন্ট)  
অনেক মানুষ আছে, যারা ছোটবেলা থেকে খুব বেশি ভালোবাসা বা গুরুত্ব পায়নি—পরিবার, বন্ধু, কাছের মানুষদের কাছ থেকে। ফলে, যখন কেউ একটু care বা attention দেয়, তখন সেটাকে তারা অসাধারণ কিছু মনে করে।

সেই সামান্য মনোযোগের কারণে তারা সেই মানুষের প্রতি এতটা emotionally attached হয়ে যায় যে, তার ছোট ছোট আচরণও তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তখন সেই মানুষটাকে হারানোর ভয়, একা হয়ে যাওয়ার ভয়, আর তার থেকে attention না পাওয়ার ভয়—সব মিলে ভেতরে এক ধরনের dependency তৈরি হয়।

কিন্তু মানুষ স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল। কেউ সবসময় আগের মতো থাকবে না, সবসময় priority দেবে না। অথচ এমন অবস্থায় থাকা মানুষগুলো মনে মনে আশা করে, 'ও আগের মতো থাকবে', 'ও আবার আগের মতো হবে'। আর এই আশা অনেক সময় কষ্ট বাড়ায়, কারণ মানুষ বদলায়, অবস্থাও বদলায়।

তাদের মধ্যে এক ধরনের pattern তৈরি হয়—অবহেলার পরও ওই মানুষটাকে মনে রাখা, ফিরে এলে সব ভুলে আবার বিশ্বাস করা, আবার hurt হওয়া। এটা একটা cycle হয়ে যায়।

আমার মনে প্রশ্ন জাগে, এই cycle থেকে কীভাবে বের হওয়া যায়? কীভাবে অন্যের উপর emotional dependency কমানো যায়? কীভাবে নিজের self-worth বাড়ানো যায়?

এগুলো কি trauma response এর অংশ? 


মূল সংস্করণ এ দেখুন..
Query ID: 44704
প্রশ্নের লিংক কপি হয়েছে


Ads

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 অপছন্দ
আসসালামু আলাইকুম। 
আপনার লেখাটা পড়লাম। বিশ্বাস করুন, প্রতিটি শব্দ যেন হৃদয়ের গভীর থেকে বেরিয়েছে। আপনার এই অনুভূতি, এই কষ্ট—একেবারেই স্বাভাবিক। কারণ, মানুষ যখন ছোটবেলা থেকে ভালোবাসা, গুরুত্ব, স্নেহ পায় না, তখন যে কোনো সামান্য care তার কাছে অমূল্য হয়ে ওঠে। এটা কোনো দুর্বলতা নয়, এটা মানবিক।

আমরা প্রত্যেকেই চাই, কেউ আমাদের আপন করে নিক, প্রাধান্য দিক, আমাদের অনুভব করুক। এই চাওয়া ভুল নয়, বরং খুবই স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হয়, যখন এই চাওয়া dependency তে রূপ নেয়—যখন নিজের অস্তিত্ব, সুখ, শান্তি সেই মানুষের আচরণের উপর নির্ভর করে।

আপনি যেটা বলেছেন, বারবার hurt হওয়া, অবহেলার পরও ফিরে আসা, আবার বিশ্বাস করা—এটা আসলে trauma bonding এর মতো একটি pattern। এটি হয়, যখন মনের ভেতর শূন্যতা থাকে, যখন ছোটবেলার unmet needs পূরণ না হয়। তখন সেই শূন্যতা পূরণের জন্য আমরা যাকে পাই, তাকেই আঁকড়ে ধরি, তার কাছেই আশা করি সবটা।

প্রিয়জন, এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে প্রথমেই একটা সত্য মেনে নিতে হবে—আপনার completeness অন্যের মধ্যে নয়, আপনার নিজের ভেতরেই আছে। কেউ আপনাকে পুরো করবে না, আপনাকে নিজের ভেতর সেই ভালোবাসা, গুরুত্ব, সম্মান খুঁজে পেতে হবে।

কীভাবে শুরু করবেন?
ছোট ছোট ধাপ নিন:
– নিজের boundary ঠিক করুন। কেউ যদি repeated disrespect করে, সেই জায়গা থেকে ধীরে সরে আসুন।
– নিজের পছন্দ-অপছন্দ বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি কী ভালোবাসেন? কোন কাজ আপনাকে আনন্দ দেয়? সেই কাজগুলোতে সময় দিন।
– একাকীত্বকে ভয় পাবেন না। একা থাকা মানেই একা হয়ে যাওয়া নয়; এটা self-discovery এর সময়।
– নিজের অনুভূতি লিখুন। প্রতিদিন জার্নাল করুন। এটা আপনাকে নিজের ভেতরের জগৎ বোঝাতে সাহায্য করবে।
– যদি সম্ভব হয়, কাউন্সেলিং নিন। এটা দুর্বলতা নয়, বরং সাহসের কাজ।

আপনি যে ভাবতে পারছেন, বোঝার চেষ্টা করছেন—এটাই প্রমাণ করে আপনি healing এর পথে আছেন। সময় লাগবে, কিন্তু ইনশাআল্লাহ সম্ভব। মাঝে মাঝে মনে হবে কিছুই ঠিক হচ্ছে না, সবকিছু আবার ভেঙে পড়ছে। সেখানেই ধৈর্য ধরবেন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখবেন।

একটা কথা মনে রাখবেন—আপনি lovable, আপনি important, আপনি deserve করেন ভালোবাসা, সম্মান, গুরুত্ব। কেউ আপনাকে সেটা না দিলেও আপনার মূল্য কমে যায় না।

আপনার এই জার্নির জন্য দোয়া করি। আল্লাহ আপনাকে শক্তি দিন, শান্তি দিন, ভেতরের শূন্যতা পূর্ণ করে দিন। আপনি একা নন। ইনশাআল্লাহ, ধীরে ধীরে সব সহজ হয়ে যাবে।
উত্তর প্রদান করেছেন (নবীন) (20 পয়েন্ট)  
0 পছন্দ 0 অপছন্দ
যখনই আপনার এই নির্দিষ্ট ব্যক্তিটির কথা মনে পড়বে তখন আপনি নিজের মনকে বোঝাতে থাকবে যে আমি ওনার কথা ভাববো না। এক প্রকার আপনি আপনার মস্তিষ্ককে কমান্ড প্রদান করবেন যাতে আপনার মস্তিষ্ক ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির কথা চিন্তা না করে।। হ্যাঁ প্রথমে আপনার মনে হবে যে এটি কোন কাজের নয় কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরে আপনি ধীরে ধীরে তার প্রতি আগ্রহ হারাতে শুরু করবেন।। এবং যখন কথা বলতে ইচ্ছা করবে চেষ্টা করবেন তার করা খারাপ ব্যবহারগুলো আপনার সাথে করা অন্যায়গুলোর কথা মনে করতে এবং সব থেকে বড় কথা তাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকুন, আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে যতক্ষণ পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে ব্যক্তি আপনার মনে না আসে বা আপনার চিন্তায় জায়গা দখল না করে ততক্ষণ অব্দি আপনি ভুলেও কখনো এটি চিন্তা করবেন না যে আমি ওকে কেন ভুলতে পারছি না বা আমি ওকে কিভাবে ভুলবো।। স্রষ্টা আপনাকে যা দিয়েছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ দিন এবং নিজেকে নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করুন।। বিদ্র: এখানে বলা কোন কাজের মাধ্যমেই আপনি একদিন এক সপ্তাহ অথবা এক মাসের ভিতরে ওই ব্যক্তিকে ভুলে যেতে পারবেন না এর জন্য যথেষ্ট সময় প্রয়োজন।। আপনাকে বুঝতে হবে সে কখনোই দু-একদিনের ভিতরে আপনার মনে জায়গা করে নেয় নি সুতরাং সেই পরিমাণ সময় আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে।।।

নিজের মনের সাহস রাখুন এবং নিজের আত্মসম্মানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিন ,ধন্যবাদ।।
উত্তর প্রদান করেছেন (অতিথি) (8 পয়েন্ট)  

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
2 টি উত্তর
1 উত্তর

18,646 টি প্রশ্ন

19,508 টি উত্তর

2,577 টি মন্তব্য

103,420 জন সদস্য

ই-নলেজ কুয়েরি বাংলা ভাষায় সমস্যা সমাধানের একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট। এখানে আপনি প্রশ্ন-উত্তর করার মাধ্যমে নিজের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দিতে পারেন অন্যদের সমস্যার নির্ভরযোগ্য সমাধান! বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যা, পড়ালেখা, ধর্মীয় ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান বিষয়ক, সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট, দৈনন্দিন নানান সমস্যা সহ সকল বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর করতে পারবেন! প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে বাংলা ভাষায় উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য!
তাই আজই যুক্ত হোন ই-নলেজে আর বাড়িয়ে দিন আপনার জ্ঞানের গভীরতা...!
Empowering Novel Learners with Joy (Enolej)


  1. Freelancer Sadia

    11 পয়েন্ট

    3 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  2. Mirza

    9 পয়েন্ট

    1 উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  3. সাগর বোস

    8 পয়েন্ট

    1 উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  4. নাজাত মৃধা

    8 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    3 টি প্রশ্ন

  5. Nobita

    6 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    1 প্রশ্ন

...