স্রষ্টা যদি না থাকতেন, তাহলে আমরা কীভাবে সৃষ্টি হলাম?
স্রষ্টা না থাকলে আপনি আমি কেউই এই জগতে আসতে পারতাম না। কারণ, কোনো কিছুই এমনভাবে আপনাআপনি সৃষ্টি হয় না। প্রত্যেক সৃষ্টির পেছনে একটি কারণ ও পরিকল্পনা থাকে। স্রষ্টা আছেন বলেই আপনি আমি এবং এই জগৎ—সবকিছুই বিদ্যমান।
ভাবুন তো, যদি সবকিছুই আপনা-আপনি হতো, তাহলে মানুষের শরীর এত নিখুঁতভাবে গঠিত হলো কীভাবে? চোখ, কান, হাত, পা, হৃদয়, মস্তিষ্ক—এই জটিল ও সুচারু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কি কোনো দৈবক্রমে তৈরি হতে পারে? একটি সামান্য মোবাইল ফোন বা ঘড়ি নিজেরা নিজে সৃষ্টি হয় না, তবে এত জটিল ও সুসংবদ্ধ মানবদেহ কীভাবে নিজে নিজে তৈরি হবে?
আর যদি ধরে নেওয়া হয় সবকিছু আপনা-আপনি হয়েছে, তাহলে ধরে নিতে হয়, কোনো এক সময়ে একটি পানির ফোঁটার মধ্যে থেকে একটি প্রাণী জন্ম নিল। এরপর সেই প্রাণী ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হতে হতে মানুষের রূপ পেল। এমন একটি কল্পনা বাস্তবে অসম্ভব। যদি এমন হতো, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীই ধীরে ধীরে মানুষে রূপান্তরিত হতো।
ভাবুন, যদি কেউ বলে—বিদেশ থেকে কিছু লোক ভাসতে ভাসতে একদিন এই দেশে এল এবং হঠাৎ করে বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করল, এরপর তারা বাংলাদেশে বসবাস শুরু করল—আপনি কি এটাকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মানবেন?
সত্য হলো—সৃষ্টির পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন। তিনি আছেন বলেই এই বিশ্বজগৎ এত সুন্দর ও সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি না থাকলে কিছুই হতো না।